সাম্প্রতিক বছর সমূহের (৩বছর) প্রধান অর্জন সমূহ
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষক:শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী:শ্রেণিকক্ষের অনুপাত হ্রাসকরণের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে 54 জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুল ও প্যানেল থেকে শিক্ষক নিয়োগের অত্র উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট হ্রাস পেয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের পরিশ্রমে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে। বাস্তব চাহিদার আলোকে ৬৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে দপ্তরি কাম প্রহরী পদ সৃষ্টি হওয়ায় এরই ধারাবাহিকতায় ৪৬ টি পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বাকী ২৩ টি পদে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চাহিদার ভিত্তিতে বিদ্যালয় পর্যায়ে নলকূপ স্থাপনসহ ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে উপজেলার সকল শিক্ষার্থীর মাঝে ৩১/০১/২০১৭ ইং তারিখের মধ্যে বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, 5 বছর মেয়াদী প্রাথমিক শিক্ষা চক্র সমাপনের লক্ষ্যে উপজেলার সকল শিক্ষার্থীর মাঝে রূপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। ৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল এবং কাব দল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া, ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে (SLIP)প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাজেটের আলোকে কাজ সমাপ্ত করে এর সঠিক মনিটরিং মূল্যায়ন করা হয়েছে। প্রাক প্রাথমিক শিশুদের ঊৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে গত ৩ বছর ধরে তাদের রুমগুলো সু সজ্জিত করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০১২ সাল হতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালনার লক্ষ্যে অত্র উপজেলার সর্ব পর্যায়ের জনগোষ্টী আন্তরিকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য “শিশুর সার্বিক বিকাশ” এর দিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিটি বিদ্যালয়ে আন্তঃ প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সু-সম্পন্ন হয়েছে। ৩৫ জন শিক্ষককে ১২ দিনব্যাপী আইসিটি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং 23 টি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া দেয়া হয়েছে যা দিয়ে ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষকদের পেনশন সহজীকরণের মাধ্যমে দ্রত নিস্পত্তি করা হয় । দপ্তর ও বিদ্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কার্যপদ্ধতি ও সেবার মানোন্নয়ন হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস